আজ ৭ জুন। ১৯৬৬ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ছয় দফার সমর্থনে পালিত হয় প্রথম হরতাল। এই হরতালে ১১ শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। আরও অসংখ্য মানুষ আহত হন। হরতালের প্রতি শ্রমিক ও জনসাধারণের সমর্থন সেদিন ঘটতে দেখা যায়। মূলত শ্রমিকরাই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে হরতালের সমর্থনে মিছিলসহ অংশগ্রহণ করে। পুলিশের গুলিতে সেকারণেই নিহতদের মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যার প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। ৭ জুনের এই হত্যাকাণ্ড দেশব্যাপী যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা ছয় দফা, শেখ মুজিবুর রহমানসহ জেলে আটক রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি পূর্ব বাংলার মানুষের সমর্থন বৃদ্ধি, ন্যাপসমর্থিত কিছু অঙ্গসংগঠন পাকিস্তানিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরত্বারোপ করে বিবৃতি প্রদান করেন। মূলত, ৭ জুন পরবর্তী সময়ে ছয় দফার প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়, পাকিস্তান সরকারের দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতন প্রদেশব্যাপী বেড়ে যায়। কিন্তু সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ৭ জুন সূচিত শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র ও জনসাধারণের ঐক্যকে বিজয়লাভ পর্যন্ত এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে।
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রদেশসমূহের জন্য স্বায়ত্ত্বশাসন সম্বলিত ছয় দফা দাবি আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। কিন্তু তা গৃহীত না হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সম্মেলন থেকে বের হয়ে আসেন। তবে তিনি লাহোরে ১০ তারিখ অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে তার ছয় দফা দাবিনামা পেশ করার কথা জানান।
১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দরে তিনি উক্ত ছয় দফা সাংবাদিকদের সম্মুখে দফাওয়ারি ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এতে তিনি প্রদেশসমূহের স্বায়ত্তশাসন, ফেডারেল পদ্ধতিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা, কেন্দ্রের হাতে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা রেখে প্রদেশসমূহের সরকারের হাতে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা, দুই অঞ্চলের মধ্যে পৃথক মুদ্রাব্যবস্থা চালুসহ বেশ কিছু নতুন চিন্তার প্রকাশ ঘটান।
পরদিন পত্রপত্রিকায় ছয় দফা প্রকাশিত হলে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ তথা শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘পাকিস্তান ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ছয় দফা নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছয় দফার ওপর জেলা প্রতিনিধিগণ আলোচনা করেন। ছয় দফাকে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে সমর্থন দেয়া হয়। তবে মার্চের ১৮, ১৯, ২০ তারিখে প্রাদেশিক সম্মেলনে ছয় দফার একটি পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্মেলনের প্রথম দিন ‘আমাদের বাঁচার দাবি’ শিরোনামে ছয় দফার একটি বিস্তারিত বিবরণ শেখ মুজিবুর রহমান পাঠ করেন। ছয় দফা সম্মেলনে দলীয় আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত হয়। সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নতুন নেতৃত্ব ছয় দফার পক্ষে জনসমর্থন তৈরির লক্ষ্যে প্রদেশব্যাপী সভা-সমাবেশ শুরু করে।
পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় প্রতিটি জনসভায় বক্তব্যদানে বাধা প্রদান, গ্রেপ্তার এবং বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে। তিনি জামিন নিয়ে বের হয়ে নতুন জনসভায় যোগদান করেন। তার প্রতি জনসমর্থনও দ্রুত বেড়ে যায়।
সর্বশেষ ৮ মে নারায়ণগঞ্জে বিশাল জনসভা শেষে ঢাকায় ফেরার পর রাতে তাকেসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তার প্রদেশব্যাপী চলতে থাকে। ২০ মে আওয়ামী লীগের এক জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জরুরি আইন প্রত্যাহার, শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীর মুক্তি, সংবাদপত্রের ওপর জারি করা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং অন্যান্য দাবির পরিপ্রেক্ষিতে… ৭ জুন প্রদেশব্যাপী ‘হরতাল’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২৭ মে রাওয়ালপিন্ডিতে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি কমিটি ৭ জুন আহূত হরতালকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে। ৩১ মে আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক কমিটি কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি কমিটির হরতাল সমর্থনের বিষয়টি পত্রিকায় বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করে।
৭ জুনের হরতালকে সফল করার জন্য ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চলে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে। ঢাকার তেজগাঁও, নারায়ণগঞ্জের আদমজী, টঙ্গী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ হরতাল সফল করার লক্ষ্যে শ্রমিকদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেন। ৭ জুনের হরতালের আয়োজন দেখে সরকার ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করতে থাকে। এর ফলে হরতালের প্রতি জনসমর্থন আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ৭ জুন যত ঘনিয়ে আসছিল শাসকমহলের মধ্যে হরতাল দমনের মনোভাব তত বেশি বৃদ্ধি পায়।
অপরদিকে শ্রমিক-ছাত্র, কৃষক ও সাধারণ মানুষ হরতাল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বাড়ছিল। ৭ জুন হরতাল সর্বত্র সাধারণ মানুষের সমর্থনে পালিত হতে থাকে। ৭ জুন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আহূত হরতাল সংঘর্ষে রূপ ধারণ করে। যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল, দোকানপাটও খোলেনি। সংঘর্ষ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ লাভ করে। বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন স্থাপনা, যানবাহন ইত্যাদি ঘেরাও করে। পুলিশ গুলি চালিয়ে সেটি দমনের চেষ্টা করে। এতে শ্রমিকসহ ১১ সাধারণ মানুষ পুলিশের গুলিতে শহিদ হন এবং অনেকেই আহত হন। পত্রপত্রিকায় সরকারের প্রেস রিলিজ ব্যতীত হরতালের বিবরণ ও চিত্র প্রকাশিত হতে দেয়া হয়নি। তারপরও সরকারি প্রেস রিলিজের বিবরণ থেকে পাঠক এবং বোদ্ধারা সেই দিনের চিত্র বুঝে নিতে সক্ষম হন। ৭ তারিখেই পুলিশের গুলিতে নিহতদের খবর মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। পাকিস্তান সৃষ্টির পর এই প্রথম পালিত হরতালে এত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়ায় মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। যদিও আওয়ামী লীগের ডাকে এই হরতাল পালিত হয়। হরতালে পুলিশের গুলি চালানো এবং ১১ জনের মৃত্যুর খবরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতৃবৃন্দ ৮ তারিখ এক যুক্ত বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তারা পাকিস্তানিদের দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদ করেন এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। বিবৃতিদানকারীরা হলেন হাজী মোহম্মদ দানেশ, মহীউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, দেওয়ান মাহবুব আলী, পীর হাবিবুর রহমান, মোজাফফর আহমদ, হাতেম আলী খান, ওসমান গনি, গোলাম মর্তুজা, নুরুল ইসলাম ও ড. এমএ ওয়াদুদ। তবে ডান ঘরানার পাকিস্তানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়নি। ৭ জুনের হরতাল সম্পর্কে কারাগারে বসে আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান লেখেন-
“ছয় দফা যে পূর্ব বাংলার জনগণের প্রাণের দাবি- পশ্চিমা উপনিবেশবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষকশ্রেণি যে আর তার পূর্ব বাংলার নির্যাতিত গরীব জনসাধারণকে বেশিদিন শোষণ করতে পারবে না, সেকথা এবার জেলে এসেই বুঝতে পেরেছি। বিশেষ করে ৭ই জুনের যে প্রতিবাদে বাংলার গ্রামেগঞ্জে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফেটে পড়েছে, কোনো শাসকের চক্ষু রাঙানি তাদের দমাতে পারবে না। পাকিস্তানের মঙ্গলের জন্য শাসকশ্রেণির ছয় দফা মেনে নিয়ে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করা উচিত।” (কারাগারের রোজনামচা, পৃ.৭৩) ৭ জুনে হরতালের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় বেড়ে যায়। অনেককেই কারাগারে আটক রাখা হয়। এ অবস্থাতেও ১০ জুন আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভা গোপন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৬ আগস্টের মধ্যে জরুরি আইন প্রত্যাহার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দান ইত্যাদির দাবিতে প্রতিরোধ দিবস পালনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্ত অবহিত হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান লেখেন-
“দেখেই খুশি হলাম যে আমি ও আমার সহকর্মীরা অনেকেই জেলে আটক থাকা অবস্থায়ও আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীরা শান্তিপূর্ণ গণ আন্দোলন চালাইয়া যাওয়ার সংকল্প করিয়াছে। রক্ত এরা বৃথা যাইতে দিবে না।” (ওই, পৃ. ৮৫)
বস্তুত, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও পূর্ব পাকিস্তান সরকার ধরে নিয়েছিল যে, শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটক রাখাসহ ব্যাপক নির্যাতনের মুখে ফেলা হলে শেখ মুজিবের ছয় দফা আন্দোলন কিছুদিনের মধ্যেই স্তিমিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটতে থাকে ভিন্ন পরিস্থিতি। ৭ জুনের হরতালকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তানে ছয় দফার প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পায়, শেখ মুজিবসহ কারাবন্দি নেতৃবৃন্দদের প্রতি জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন দ্রুত বেড়ে যায়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর নির্যাতনের মুখে আরও বেশি ঘুরে দাঁড়াতে থাকে, নতুন কর্মসূচিতে আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার অবস্থান তৈরি করে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি যথার্থই ৭ জুনের পরের পরিস্থিতিকে আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে অভিহিত করে। শেখ মুজিবের লেখা ১২ তারিখের পর্যালোচনায় আন্দোলনের পক্ষে দল এবং জনসমর্থনের ঊর্ধ্বমুখিনতার ধারণাই স্পষ্ট হয়। এরপর পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগের আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য পাকিস্তান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে সম্মুখে নিয়ে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামক একটি জোট গঠন করে। আওয়ামী লীগের মধ্যে ভাঙন ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। অনেকে বিভ্রান্তও হয়েছিলেন, জেল জুলুমের অত্যাচার সহ্য করতে পারছিলেন না। তারা একটি আপসরফার মাধ্যমে স্বায়ত্ত্বশাসনের ভিন্ন ফরমুলা নিয়ে পিডিএমের নেতৃত্বে অগ্রসর হওয়ার দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ নেতা কর্মীদের বড় অংশই ছয় দফার আন্দোলনে আপসহীন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার প্রতি কোনোভাবেই সমর্থন দেননি। ছয় দফার আন্দোলন কঠিন চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, আইয়ুবের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে মানুষ ছয় দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায়। আইয়ুব খান বাধ্য হয় সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে। মুক্ত শেখ মুজিব ভূষিত হন বঙ্গবন্ধু উপাধিতে।
প্রতিবছর ৭ জুন ছয় দফা আন্দোলনের ঐতিহাসিক পর্ব হিসেবে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী পালন করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৭ জুন রক্তাক্ত দিবস ছিল, একই সঙ্গে এই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ছয় দফাকে সফল করতে শুধু আওয়ামী লীগই নয় শ্রমিক, কৃষক, সাধারণ মানুষ যে জাগরণ ঘটায় তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় জাতিকে পথ দেখায়।
লেখক: অধ্যাপক, গবেষক